Memory and Learning

Share:

Memory and learning

Miscellaneous


আজকাল পড়াশোনা যেন করতেই মন চাই না।’ যাকেই জিজ্ঞেস করি এমন একটা কমন উত্তর পেয়ে যায়।আবার যারা প্রচুর পড়াশোনা করে, তাদের কষ্ট ‘মনে থাকে না কিছুই’!! তাহলে মনে হয় সবাই পড়াশোনা নিয়ে ভালই সমস্যার মধ্যে যাচ্ছে।তা চলুন আজ কিছু সাইকোলজিক্যাল টেকনিক জেনে নিই যাতে আমারা চাইলে খুব কম পড়েও হয়তো দীর্ঘ সময় পড়াগুলো মনে রাখতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। চলুন বৈজ্ঞানিক একটা experiment দ্বারা টেকনিক গুলা শুরু করি– ১৯৬৩ সাল। Wickens, Bore এবং Allen চিন্তায় নিমজ্জিত ” কিভাবে শেখা পড়াগুলা দীর্ঘদিন মনে রাখা যায়!” তারা স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের দুটো দলে ভাগ করলো।প্রথম দলকে একই টপিকের তিনটা করে শব্দ মুখস্থ করতে দিলেন।শব্দগুলা মুখস্থ হয়ে গেলে তাদেরকে প্রায় ২০ সেকেন্ড অন্য কিছু কাজ করতে বলা হলো।তারপর তাদের রিকল করতে বলা হলো।দেখা গেলো তারা প্রায় ৮৭ ভাগ পড়া সঠিকভাবে বলতে পারলো। এরপর ঐদলকেই আবার আগের টপিকের উপর নতুন তিনটা শব্দ মুখস্থ করতে বলা হলো।মুখস্থ শেষে এবারও তাদের ২০ সেকেন্ড অন্য কাজে ব্যাস্ত রেখে রিকল করতে বলা হলো। এবার তারা ৬৭ ভাগ উত্তর সঠিকভাবে দিলো। একই প্রক্রিয়ার তাদের উপর আরও দুটো ট্রায়াল নেয়া হলো।এই ট্রায়াল গুলাতেও সেইম টপিক ছিলো। কিন্তু দেখা গেলো যে তৃতীয় ট্রায়ালে ৫৫ভাগ এবং চতুর্থ ট্রায়ালে ৪৩ ভাগ উত্তর তারা সঠিকভাবে দিতে পারছে। এবার দ্বিতীয় দলকেও একই প্রক্রিয়ার তিনটা ট্রায়াল নেয়া হলো,যেখানে টপিক একই ছিলো,এবং তাদের রেজাল্টও প্রথম দলের অনুরুপ। কিন্তু চতুর্থ ট্রায়ালে এসে তাদের আলাদা টপিকের উপর তিনটা শব্দ মুখস্থ করতে বলা হলো। দেখা গেলো যে এবার তারা প্রায় ৭৪ ভাগ সঠিক রিকল করতে পেরেছে।অর্থাৎ টপিক ভিন্ন হওয়ার কারণে তারা সহজেই পড়াগুলা মনে রাখতে পেরেছে। এই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে যেখা যায় যে ছাত্রগুলা যখন একই টপিকের পড়া বারবার পড়ছিলো ,তখন পড়াগুলার মাঝে সাদৃশ্য থাকায় তাদের পূর্বের শেখা পড়া গুলা পরবর্তী শেখা পাড়াগুলোকে মনে রাখতে বাধা দিচ্ছিলো।সাইকোলজিতে এঘটনাকে বলা হয় Proactive interference। আর এর ফলেই প্রথম দলের চারটা ট্রায়ালেই রিকলের হার কমে এসেছে।দ্বিতীয় দলের ক্ষেত্রেও প্রথম তিন ট্রায়ালে একই রেজাল্ট দেখা গেছে।কিন্তু চতুর্থ ট্রায়ালে এসে টপিক যখন ভিন্ন করা হয়েছে তখন তারা তা সহজের রিকল করতে পেরেছে। অর্থাৎ টপিক ভিন্ন হওয়ায় তারা আগের পড়ার সাথে পরবর্তী পড়াগুলোর মাঝে ভালোভাবে বৈসাদৃশ্য করতে সক্ষম হয়েছে, যা তাদের মনে রাখতে সাহায্য করেছে।। এই experiment থেকে আমরা সহজেই কিছু টেকনিক শিখে নিতে পারি যা আমাদের শেখা পড়াগুলো দীর্ঘ স্থায়ী করবে- ১.আমরা একই বিষয় দীর্ঘ সময় ব্যাপী পড়বো না,বরং কয়েকটা বিষয় অল্প অল্প করে পড়বো।তাতে আমাদের পড়াগুলা সহজেই মনে থাকবে। ২.পড়া শেখার সময় আমরা প্রথমে পড়াগুলার মাঝে বৈসাদৃশ্য খুঁজার চেষ্টা করবো। ৩.একটানা পড়ার চেয়ে ছেড়ে ছেড়ে পড়া উচিৎ। ৪.ঘুমাতে যাওয়ার আগে আগে কিংবা ঘুম থেকে উঠেই পড়াশোনা শুরু করা উচিত। এতে Proactive inference হয় না।ফলেই পড়া মনে থাকে। পরিশেষে বলতে চাই যে আপনারা চাইলে উপরোক্ত টেকনিক গুলা কাজে লাগাতে পারেন।তাতে কিছুটা লাভ হলেও হবে ইনশাআল্লাহ। --- Send in a voice message: https://anchor.fm/mono-manoshikota/message